আমাদের খেজুর গুড়ের বৈশিষ্ট্য
সম্পূর্ণ নিজস্ব তত্ত্বাবধানে খেজুরের রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করা হয়।
যে কোন ধরনের রাসায়নিক ও কেমিক্যাল মুক্ত।
খেজুরের গুড়ের জন্য বিখ্যাত যশোর জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের খেজুরের গাছের রস থেকে প্রস্তুতকৃত।
প্রতিটি গাছ থেকে ৫-৬ দিন পর পর রস সংগ্রহ করা হয় বলে রস এবং গুড়ের মান সর্বোৎকৃষ্ট হয়।
পাটালি গুড়, দানাদার ঝোলাগুড় এবং ঝোলাগুড়এই তিন ধরনের গুড় নিখাদ বাজার সরবরাহ করছে।
সব ধরনের গুড়ই ১ কেজি এবং ২ কেজির প্যাকেজিংয়ে এ পাওয়া যাচ্ছে।
খেজুর গুড়ের উপকারিতা
➤প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম-এর ভাণ্ডার এই খেজুর গুড়। যারা রক্তস্বল্পতার ভুগছেন, তাদের জন্য খেজুরের গুড় সহায়ক। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের খেজুর গুড় এড়িয়ে চলাই উত্তম।
➤খেজুর গুড় ওজন কমাতে সহায়তা করে। যাদের হজমের সমস্য আছে, তারা নিয়মিত ডায়েটে রাখতে পারেন খেজুর গুড়।
➤ খেজুর গুড় কোল্ড অ্যালার্জি কমাতে সহায়ক। রক্তাস্বল্পতায় ভুগলেও, খেতে পারেন খেজুর গুড়। কারণ, এই গুড় শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতেও সহায়ক এই খেজুর গুড়।
➤শীতে শরীর গরম রাখতে অথবা সর্দি-কাশি ও জ্বরের মতো রোগ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে খেজুরের গুড় খেতে পারেন।
➤ তাছাড়া প্রাচীনকাল থেকে বিখ্যাত সব শীতকালীন পিঠা তৈরির মূল উপাদান হিসেবে খেজুর গুড় ব্যবহার করা হয়।
খেজুরের গুড়/পাটালির ব্যবহার
➤মিষ্টি তৈরি: গুড় থেকে নানা ধরনের মিষ্টি তৈরি করা হয়, যেমন নারিকেলের গুড় মিষ্টি, গুড় সন্দেশ, পিনাটবার ইত্যাদি। গুড়ের মিষ্টি খাবারের স্বাদ আরও মধুর করে তোলে।
➤পিঠা-পায়েশ তৈরি: আমাদের দেশের নানা রকম পিঠা-পায়েশ তৈরিতে খেজুরের গুড় অপরিহার্য উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশেষত শীতকালে পিঠাপুলি তৈরিতে গুড় ব্যবহার করা হয়।
➤দৈনন্দিন খাবারে গুড়ের ব্যবহার: দৈনন্দিন খাবারে চা, পায়েশ, রুটি বা সাদা ভাতের সঙ্গে গুড় খাওয়া যায়। এটি চিনি বা মধুর বিকল্প হিসেবে স্বাস্থ্যকর।
খেজুর গুড় তৈরি প্রক্রিয়া
নভেম্বর থেকে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত তীক্ষ্ণ ধারালো দা দিয়ে খেজুর গাছের ছাল ছিলে তাতে মাটির ছোটো হাড়ি বা কলস বাঁধা হয়। সাথে হাড়ির উপরে সাদা পরিষ্কার কাপড় মুড়ানো হয় যাতে করে পাখি বা কীটপতঙ্গ প্রবেশ করতে না পারে। এরপর খেজুর গাছ থেকে রস নামিয়ে পরিশোধন-এর জন্য পরিষ্কার একটা পাত্রে ঢালা হয়।
এই রস যতটা সম্ভব তাজা অবস্থায় গুড় তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়, কারণ পুরোনো রস থেকে ভালো গুড় তৈরি হয় না।চুলার আঁচ মাঝারি রেখে রসকে ধীরে ধীরে ঘন করা হয়। এটি অত্যন্ত ধৈর্যের একটি কাজ, কারণ রস পুড়ে গেলে গুড়ের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। রস গরম করার সময় এর উপরে একটি ফেনা দেখা দেয়, যা ধারাবাহিকভাবে তুলে ফেলা হয়। এটি রসকে পরিষ্কার রাখে এবং গুড়ের গুণগত মান বৃদ্ধি করে।
তারপর গুড় তৈরি শেষ হলে পুনরায় ছাকনি দিয়ে ফল্টার করে নির্ধারিত বোয়েমে রেখে ঠান্ডা করে প্যাকেজিং করে সচেতন ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়।
আর এই প্রক্রিয়ার সবকিছু করা আমাদের দক্ষ গাছি ও নিখাদ বাজারের টিম মেম্বারদের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে।